Higher Study Preparation

আমেরিকা নাকি কানাডা

কানাডাতে ঢোকা কঠিন, থাকা সহজ। আমেরিকায় ঢোকা সহজ , থাকা কঠিন। অনেকেই ( বাংলাদেশি) কানাডা থেকে এসে আমেরিকায় পড়াশোনা করছেন। এর কারণ আমেরিকায় যে পরিমাণে ফান্ড পাওয়া যায় কানাডাতে এতটা পাওয়া যায় না। আবার আমেরিকায় ওয়ার্ক ভিসায় লটারি, গ্রিন কার্ড পাওয়ার দীর্ঘ প্রসেসের ঝামেলা তো আছেই। কানাডার জব মার্কেট আমেরিকার মতো এত বিস্তৃত নয়। কানাডাতে স্টুডেন্ট ভিসায় বেশ ফ্লেক্সিবলি ইউনিভার্সিটির বাইরেও কাজ করা যায়। কিন্তু আমেরিকায় এটা অবৈধ।

আমেরিকার ভার্সিটিগুলো অনেক ধরনের প্রোগ্রাম অফার করে যেগুলো আবার কানাডার ভার্সিটিগুলো তুলনামূলক কম অফার করে থাকে।
আমেরিকা রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট খাতে প্রায় 480 বিলিয়ন ডলার খরচ করে। সেখানে কানাডা খরচ করে মাত্র 27 বিলিয়ন ডলার।

কানাডাতে এডমিশনের জন্য একাডেমিক প্রোফাইল বেশ ভালো হতে হয়। কিন্তু আমেরিকান ভার্সিটিগুলোতে খারাপ সিজিপিএ নিয়েও লেগে থাকলে আপনি ফান্ডসহ এডমিশন পেতে পারেন।

বেশিরভাগ মানুষের ধারণা আমেরিকার রাস্তায় ডলার ওড়ে। প্রকৃতপক্ষে, ডলার না উড়লেও সেখানে সুযোগ ওড়ে। লো সিজিপিএ, সাবজেক্ট চেঞ্জ, পেপার নেই, টেস্ট স্কোর কম – এসবের যেকোনো একটা কমতি থাকলেও আপনি দিনের পর দিন লেগে থাকলে আমেরিকান কোনো একটা ভার্সিটিতে এডমিশন পেতে পারেন ( অবশ্যই যদি আপনার অন্য কোনো দিকে ভালো দক্ষতা থাকে)।

দুটো দেশেরই শিক্ষার মান টপ কোয়ালিটির। তবে নামী ভার্সিটি গুলোর বেশিরভাগই আমেরিকাতে অবস্থিত। ওয়ার্ল্ড rank এর প্রথম ২০ টা ভার্সিটির ১২ টাই আমেরিকান। যেখানে কানাডিয়ান ৮ টা ভার্সিটি টপ ২০০ তে জায়গা করে নিয়েছে। পড়াশোনার মানের দিক থেকে দুটো দেশের পার্থক্য খুব কম। তাছাড়া স্টেম ফিল্ডে আমেরিকার বিনিয়োগ বেশি। কাজেই ফান্ডও পাওয়া যায় বেশি।

তাছাড়া কানাডাতে পড়তে চাইলে কিছু ব্লক মানি দেখানো লাগে যতদূর জানি। আমেরিকায় এমন কোনো ব্লক মানি দেখানো লাগে না। ফুল ফান্ড পেলে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যেই সব কাজ সেরে ফেলা সম্ভব। আপনি যদি পার্শিয়াল ফান্ড ও পান তাহলেও ভিসা ইন্টারভিউ এর পরে সেই টাকা একাউন্ট থেকে তুলে ফেলতে পারবেন। আমেরিকায় শুরুতে ফান্ড না পেলেও এক সেমিস্টার পরে ফান্ড পাওয়া কঠিন নয়।

তাছাড়া আমাদের দেশের মানুষ সাইকোলজিক্যালি এখনো হায়ার স্টাডি বলতে প্রথমেই আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডকে বোঝে ( যদিও এই অবস্থা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে)।
তবে পড়াশোনার জন্য আমেরিকা খুব ফ্লেক্সিবল হলেও রেসিডেন্সি পাওয়ার ক্ষেত্রে কানাডা বেশি ফ্লেক্সিবল।

Post Credit: Shamim Sharif

Shares:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *