য
যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া জটিল মনে হলেও ধাপে ধাপে এটি খুবই সহজে সম্পন্ন করা যায়। এখানে প্রতিটি ধাপের বেসিক আইডিয়ারগুলো মেনশন করা হয়েছেঃ
ধাপ ১: বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন এবং ভর্তি নিশ্চিত করা
১. #বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন:
আপনার পড়াশোনার বিষয় এবং ক্যারিয়ার লক্ষ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুঁজে বের করুন। ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং, টিউশন ফি, অবস্থান, এবং প্রোগ্রামের মানের উপর ভিত্তি করে পছন্দ করুন।
২. #আবেদন জমা দিন:
আবেদন ফরম পূরণ করুন (অনলাইনে)।
প্রয়োজনীয় নথি জমা দিন, যেমন:
একাডেমিক সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র।
TOEFL/IELTS স্কোর।
SOP (Statement of Purpose)।
সুপারিশপত্র (Recommendation Letters)।
পাসপোর্ট কপি।
৩. #ভর্তির নিশ্চয়তা পত্র (Acceptance Letter):
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পরে আপনাকে I-20 ফর্ম দেওয়া হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদন করার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি।
ধাপ ২: #SEVIS ফি প্রদান করা
১. SEVIS ফি কি?
SEVIS (Student and Exchange Visitor Information System) ফি হল একটি সরকারী ফি যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ এবং পরিচালনার জন্য নেওয়া হয়।
২. #ফি পরিশোধ প্রক্রিয়া:
SEVIS ফি ($350 USD) অনলাইনে পরিশোধ করুন।
ফি প্রদানের রসিদ প্রিন্ট করে রাখুন। এটি ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
নিজেই কানাডার ভিসা করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি
ধাপ ৩: #DS-160 ফর্ম পূরণ করা
১. DS-160 ফর্ম কি?
DS-160 হল যুক্তরাষ্ট্রে অ-অভিবাসী ভিসার জন্য একটি অনলাইন আবেদন ফর্ম।
২. #ফর্ম পূরণের ধাপ:
যুক্তরাষ্ট্র #দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে DS-160 ফর্ম পূরণ শুরু করুন।
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্টের তথ্য, শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড, এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে লিখুন।
একটি ডিজিটাল পাসপোর্ট সাইজ ছবি আপলোড করুন।
৩. কনফার্মেশন পৃষ্ঠাটি সংরক্ষণ করুন:
ফর্ম পূরণ শেষে আপনাকে একটি কনফার্মেশন পৃষ্ঠা দেওয়া হবে। এটি প্রিন্ট করে সাক্ষাৎকারে নিয়ে যেতে হবে।
ধাপ ৪: #ভিসা আবেদন ফি প্রদান করা
১. ভিসা ফি:
#ছাত্র ভিসার জন্য প্রায় $160 USD ভিসা আবেদন ফি নির্ধারিত।
অনলাইনে অথবা অনুমোদিত ব্যাংকে এই ফি পরিশোধ করুন।
২. #প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করুন:
ফি প্রদানের রসিদ সংগ্রহ করুন। এটি সাক্ষাৎকারের সময় প্রয়োজন হবে।
ধাপ ৫: #ভিসা সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করা
১. ভিসা সাক্ষাৎকারের আবেদন:
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভিসা আবেদন পোর্টালে লগইন করুন।
DS-160 ফর্ম নম্বর এবং ভিসা ফি প্রদানের তথ্য দিয়ে আপনার সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্বাচন করুন।
২. সাক্ষাৎকারের স্থান:
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস (Dhaka Embassy) সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত স্থান।
ধাপ ৬: #প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা
ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য নীচের কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে:
#পাসপোর্ট (যার মেয়াদ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে)।
I-20 ফর্ম।
SEVIS ফি প্রদানের রসিদ।
DS-160 ফর্মের কনফার্মেশন পৃষ্ঠা।
ভিসা ফি প্রদানের রসিদ।
একাডেমিক ডকুমেন্ট (সার্টিফিকেট, মার্কশিট, IELTS/TOEFL স্কোর ইত্যাদি)।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (যাতে দেখানো যায় আপনার পড়াশোনার খরচ সামলানোর সামর্থ্য রয়েছে)।
স্পন্সরশিপ লেটার (যদি আপনার পড়াশোনার খরচ স্পন্সর করে কেউ থাকে)।
ধাপ ৭: #ভিসা সাক্ষাৎকার দেওয়া
১. সাক্ষাৎকারের দিন:
নির্ধারিত তারিখে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত থাকুন।
২. #সাক্ষাৎকারে প্রস্তুতি:
#সাক্ষাৎকারে আপনি কেন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে চান, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন, এবং পড়াশোনার খরচ কিভাবে চালাবেন—এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।
আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিন এবং সত্যবাদী থাকুন।
৩. #আপনার আচরণ:
সাক্ষাৎকারে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন এবং আপনার পড়াশোনার উদ্দেশ্য সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করুন।
ধাপ ৮: #ভিসার সিদ্ধান্ত জানা
১. ভিসা অনুমোদন:
সাক্ষাৎকারের পর কর্মকর্তারা আপনার ভিসার সিদ্ধান্ত জানাবেন।
যদি অনুমোদন পান, তবে পাসপোর্টে ভিসার স্ট্যাম্প পাওয়ার জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
২. ভিসা প্রত্যাখ্যান হলে:
ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ জানার চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে পুনরায় আবেদন করুন।
এই #প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সময়মতো প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখুন। অতিরিক্ত তথ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন।