কনফারেন্স হলো একটি ফরমাল মিটিং যেখানে অনেক মানুষজন তাদের আইডিয়া, প্রস্তাবনা, সমস্যা ইত্যাদি একে অপরকে প্রদর্শন করে থাকে। এটি ১ দিন ব্যাপী বা কয়েকদিন ব্যাপী হতে পারে। কনফারেন্স যে কোনো বিষয়ের উপরে হতে পারে। তবে যে বিষয়ের উপরই হোক না কেনো প্রতিটি কনফারেন্স এর একটি উদ্দেশ্য থাকে। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতারা মিলে কোন এক জায়গায় একত্রিত হয়ে কনফারেন্স করতে পারে। এখানে রাজনৈতিক বিষয়, বিশ্বরাজনীতি, বিভিন্ন দেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আবার এক দেশের অনেক ব্যবসায়ীরা বসে কনফারেন্স করতে পারে। তারা তখন নিজেদের ব্যবসার খুটিনাটি প্রদর্শন করতে পারে।
তবে এগুলো আমাদের আলোচ্য বিষয় নয়। আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো রিসার্চারদের কনফারেন্স।
রিসার্চারদের কনফারেন্স গুলোতে অনেক গবেষক একত্রিত হয়। তারা তাদের গবেষণা প্রদর্শন করে থাকেন। কেউ পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিয়ে নিজের গবেষণা প্রদর্শন করেন যাকে বলা হয় ওরাল প্রেজেন্টেশন। কেওবা নিজের গবেষণাকে একটা পোষ্টারে সাজিয়ে প্রিন্ট করে নিয়ে আসেন যেটাকে বলা হয় পোষ্টার প্রেজেন্টেশন। তবে একজন গবেষক ওরাল প্রেজেন্টেশন দিবেন নাকি পোষ্টার প্রেজেন্টেশন দিবেন তা আগেই জানিয়ে দেন কনফারেন্স কমিটির কাছে। প্রতিটি রিসার্চ কনফারেন্স এর একটি কমিটি থাকেন, যারা কনফারেন্সের সকল কিছু ব্যবস্থা করে থাকেন। এই কনফারেন্স এর সাইন্টিফিক গুরুত্ব অনেক। একটি কনফারেন্স এ গেলে অনেক গবেষকের গবেষণা সম্পর্কে জানা যায়। অনেক নতুন নতুন গবেষকদের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। কনফারেন্স থেকেই অনেক গবেষকগন একজন আরেকজনের সাথে কোলাবোরেশান করে থাকেন।
মোটকথা কনফারেন্স হলো গবেষকদের নেটওয়ার্কিং একটি অনেক বড় জায়গা। সেখানে গিয়ে নিজের গন্ডির বাইরে অনেকের সম্পর্কে জানা যায়। অনেক হাই প্রোফাইল এর গবেষকদের সাথে কথা বলা যায়। নিজের ডেডিকেশন ও নিজের গবেষণা স্কিল নিয়ে কথা বলে অন্য গবেষক টীমের সাথে যুক্ত হওয়া যায়। নতুন টীমে কাজ করার সুযোগ বাড়ে।
ধন্যবাদ
নিউটন নিয়োগী
গ্র্যাডুয়েট টিচিং এসিস্টেন্ট,
সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটি,
সিরাকিউজ, নিউইয়র্ক