আপনি কি ইউরোপের ভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি দেশে উচ্চশিক্ষার কথা ভাবছেন? তাহলে গ্রিস হতে পারে আপনার জন্য সঠিক গন্তব্য!
গ্রিস (অফিসিয়াল নাম Hellenic Republic) ইউরোপের একটি মধ্যম আয়ের সেঞ্জেনভুক্ত দেশ। ঐতিহাসিকভাবে দেশটি Hellas নামেও পরিচিত এবং দেশটিতে মুদ্রা হিসেবে ইউরো ব্যবহৃত হয়। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স।
গ্রিসের শিক্ষার মান বেশ ভালো এবং গ্রীক ডিগ্রি বিশ্বে সমভাবে সমাদৃত। গবেষণার দিক থেকেও পিছিয়ে নেই গ্রিস। আমরা অনেকেই জানি, বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা অনেক বিজ্ঞানীর জন্ম এই গ্রিসেই।
দেশটির কিছু বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় হলোঃ
National and Kapodistrian University of Athens
Link: https://en.uoa.gr/ Aristotle University of Thessaloniki
Link: https://www.auth.gr/National Technical University of Athens
Link: https://www.ntua.gr/en/University of Patras (incl University of Western Greece)
Link: https://www.upatras.gr/এনUniversity of Crete
Link: https://www.uoc.gr/ University of Ioannina
Link: https://www.uoi.gr/
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়ঃ
গ্রিসে প্রায় সব বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার মাধ্যম গ্রীক এবং ইংরেজি। সাধারণত জুন, জুলাই – সেপ্টেম্বর এর দিকে বিদেশী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে পারে। তবে সময় প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন হতে পারে।
চেক রিপাবলিক(Czech-Republic) ও বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার সবকিছুঃ
ভর্তির প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
পূরণকৃত অনলাইন/অফলাইন অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম (ইলেক্ট্রনিক অ্যাপ্লিকেশান, এখানে দেখুনঃ http://exams-foreigner.it.minedu.gov.gr )
এসএসসি – ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট (যদি চায়)
এইচএসসি ও এসএসসি – ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট
ব্যাচেলর – ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট (মাস্টার্স এর জন্য)
মাস্টার্স – ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট (পিএইচডি এর জন্য, যদি চায়)
ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি সার্টিফিকেট (আইইএলটিএস/টুএফেল)
পাসপোর্ট কপি
আইডি কার্ড কপি
মোটিভেশন লেটার (যদি চায়)
সিভি (যদি চায়)
কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র (যদি চায়)
গবেষণাপত্র/রিসার্চ পেপার (যদি চায়)
অ্যাপ্লিকেশান ফি পরিশোধের রশিদ (যদি চায়)
বিঃদ্রঃ ডকুমেন্টস চেকলিস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামভেদে ভিন্ন হতে পারে। তাই, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট চেক করুন।
সবগুলো ডকুমেন্টস নিম্নোক্ত ঠিকানায় পাঠাতে হবেঃ
MINISTRY OF EDUCATION, RESEARCH AND RELIGIOUS AFFAIRS
«DIRECTORATE OF EXAMINATIONS AND VERIFICATIONS»
DPT. Α΄ off. 0091,37, A. Papandreou P.C.. 15180, Maroussi – Athens, Greece
For the attention of: The committee in charge of collecting and checking Application-Entry Forms from Foreigners of non-Greek origin for the year 2016
নোটঃ যে কোন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে অবশ্যই উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভালো করে সকল তথ্য দেখে ও বুঝে নিবেন।
টিউশন ফিঃ
গ্রিসের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর লেভেলে সাধারণত টিউশন ফি দিতে হয় না। তবে এটা নির্ভর করবে প্রোগ্রাম/বিশ্ববিদ্যালয় এর উপর।
স্কলারশিপঃ
http://www.studyingreece.edu.gr/…/Find/Scholarships.aspx
ভিসা সংক্রান্ত তথ্যঃ
বাংলাদেশে গ্রিস এমব্যাসি না থাকায় আপনাকে পাশের দেশ ভারত থেকে ভিসা ইন্টারভিউ এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
ভিসা/রেসিডেন্স পারমিট অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম
ইউনিভার্সিটির অফার লেটার
সকল একাডেমিক ডকুমেন্টস (সত্যায়িত, বিস্তারিতঃ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য)
বৈধ পাসপোর্ট
ছবি
ট্র্যাভেল মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স
আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণাদি
স্পন্সরের যাবতীয় ডকুমেন্টস
ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এখানে দেখুনঃ http://www.mfa.gr/en/visas/
পার্ট টাইম জব ও থাকা-খাওয়ার খরচঃ
গ্রিসে পড়াশোনাকালীন পার্ট – টাইম কাজের অনুমতি আছে। কাজের সুবিধা তেমন ভাল না। কাজ পেলেও সেটা দিয়ে নিজের খরচ চালাতে পারলেও টিউশন ফি ব্যবস্থা করতে পারবেন না। তাই, কাজ করে সব দেওয়ার চিন্তা থাকলে গ্রিস পছন্দ না করাই ভাল। আর কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে বরাবরের মতই ভাষা একটা বড় ফ্যাক্ট। গ্রীক ভাষা জানা থাকলে সুবিধা পাবেন।
স্থায়ী বসবাস ও নাগরিকত্বঃ
একটানা ৫ বছর থাকার পর পিআর এবং ১০ বছর থাকার পর নাগরিকত্ব এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। সাথে অবশ্য আরও কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে।
গ্রীক এমব্যাসি নয়াদিল্লী, ভারতঃ http://www.mfa.gr/missionsabroad/en/india.html