Tips and Tricks

আপনাদের প্রশ্নের উত্তর(পর্ব -১)

Amena Sultana Ohise আপনার প্রশ্নের উত্তরঃ
আপনার এই পরিস্থিতিটা আসলেই অনেক চ্যালেঞ্জিং। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চের পরিবেশ অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক অনেক কম সহায়ক হতে পারে বা নাই বললেই চলে। তবে, হাল ছেড়ে দেওয়ার কোন কারণ নেই। আপনার এই পরিস্থিতিতে কিভাবে এগোতে পারেন, সে বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:

 আপনার এই পরিস্থিতিতে রিসার্চ কিভাবে করবেন?

 অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করুন:
বাংলাদেশে অনেক প্রাইভেট এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে আপনি আপনার সাবজেক্ট রিলেটেড কোন প্রফেসরের সাথে কথা বলতে পারেন যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের সঙ্গে আপনি আপনার সমস্যাগুলো সুন্দর মত বুঝিয়ে বলতে পারেন এরপরে আপনি সেই প্রফেসরকে আপনার আগ্রহ দেখান যে আপনি তার সঙ্গেই রিসার্চ করতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে তিনি আপনাকে তার সঙ্গে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে রাখতে পারে। আর যদি এক জায়গা থেকে আশানুরূপ পরামর্শ না পান সে ক্ষেত্রে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য প্রফেসরের সাথে কথা বলতে পারেন। অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

তবে প্রফেসরের সাথে কথা বলার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে রিসার্চ কি, রিসার্চ পেপার কিভাবে লিখতে হয়, রিসার্চ পেপার এর মধ্যে কি কি আছে, এটি কিভাবে শুরু করা যায়, কিভাবে টাইটেল টপিক পছন্দ করা যায়, কিভাবে একটি রিসার্চ পেপারের এ টু জেড শেষ করা যায় এই জিনিসগুলো আপনাকে আগে জানতে হবে। আপনি যদি রিসার্চ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার ধারণা না রাখেন সে ক্ষেত্রে প্রফেসর আপনাকে তার সঙ্গে নিবে না বা আপনি কাজ করতে পারবেন না। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে রিসার্চ সম্পর্কিত একটি কোর্স করে জানতে হবে বিষয়গুলো।

আপনি যখন রিসার্চ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা রাখবেন তারপরে আপনি যে কোন প্রফেসর কে বলবেন স্যার আমি রিসার্চ এর এই সেকশন গুলো নিয়ে কাজ করতে পারি এবং পারবো, আমি শিখেছি, আমি জানি সেক্ষেত্রে টিচার আপনার প্রতি সহানুভূতি আচরণ দেখাবে।

 নিজে থেকে শুরু করুন:
যদি আপনার রিসার্চ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকে এবং আপনি রিসার্চের এ টু জেড সব জানেন তাহলে আপনার বিষয়ের উপর নিজে থেকে গবেষণা করতে পারেন। ইন্টারনেটের যুগে এখন অনেক সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন রিসার্চ পেপার, বই, অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে আপনার জ্ঞান বাড়াতে পারেন।

 সহপাঠীদের সাথে কাজ করুন:
আপনার ডিপার্টমেন্টের অন্য স্টুডেন্টদের সাথে মিলে একসাথে রিসার্চ করতে পারেন। হয়তো তাদেরও আপনার মতোই সমস্যা হচ্ছে। একসাথে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।


অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন:
ResearchGate, Academia.edu এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে আপনার বিষয়ের উপর কাজ করা অনেক গবেষকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন সহজেই।

সেমিনার, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করুন:
বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করে আপনার জ্ঞান বাড়াতে পারেন এবং নতুন নতুন লোকের সাথে পরিচিত হতে পারেন। National University Research Hub and Scholarship Abroad এর মাঝে মাঝেই অনলাইন লাইভ সেশন হয় সেগুলোতে জয়েন করে আপনার জানার পরিধি বাড়াতে পারেন।

 রিসার্চ পেপার, পাবলিকেশন, স্কলারশিপ পাবার ক্ষেএে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে রিসার্চ এর সুযোগ নেই বললেই চলে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে রিসার্চ সুবিধা না থাকলেও National University Research Hub And Scholarship Abroad – দিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কমপ্লিট রিসার্চ কোর্স।

যার মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এখন রিসার্চ করতে পারবে। সপ্ন যদি হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার সেক্ষেত্রে রিসার্চ করা অপরিহার্য। রিসার্চ স্কলারশিপ পাবার হার অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আপনাকে দিয়ে রিসার্চ হবেনা, আপনি পাবলিকেশন পাবেন না- এই ধরনের চিন্তা আজই বাদ দিয়ে দিন। দ্রুত আমাদের রিসার্চ কোর্স এনরোল করুন, কোর্সটি সম্পূর্ণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সাজানো হয়েছে। আমাদের এই কোর্সটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে স্কলারশিপ পাবার সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে তুলুন। ।

🔗 কোর্স লিংক:
https://course.nurhsa.org/courses/research-for-everyone-batch-04/

আপনি LOR কিভাবে নিবেন?

LOR (Letter of Recommendation) পাওয়াটা আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আপনার এই পরিস্থিতিতে LOR পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে। তবে, নিচের কাজগুলো করতে পারেন:

 আপনার সুপারভাইজারদের সাথে কথা বলুন:
যদি আপনার সুপারভাইজাররা ব্যস্ত থাকেন তবে তাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করুন। আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ দেখান এবং তাদের কাছ থেকে কিভাবে আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারেন সে সম্পর্কে পরামর্শ চান।

 অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের কাছ থেকে LOR নিন:
যদি আপনার কোন প্রজেক্টে, রিসার্চ বা অন্য কোন কাজে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন প্রফেসরের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়, তাহলে তাদের কাছ থেকে LOR নিতে পারবেন।

আপনার ইন্টার্নশিপ সুপারভাইজারদের কাছ থেকে LOR নিন:
যদি কোন কোন ইন্টার্নশিপ করে থাকেন, তাহলে আপনার ইন্টার্নশিপ সুপারভাইজারদের কাছ থেকে LOR চান। আপনি সব সময় খুঁজবেন ইন্টার্নশিপ পেইড অথবা ফ্রী অনলাইন অথবা অফলাইন কোথায় করাচ্ছে কখন করাচ্ছে এইসব দেখে আপনি আবেদন করবেন এবং ইন্টার্নশিপ করে ফেলবেন তাহলে আপনার LOR সুবিধা হবে।

 আপনার কোন প্রোজেক্ট বা রিসার্চ পেপার থাকলে তা দেখান:
আপনার কোন প্রজেক্ট বা রিসার্চ পেপার পাবলিশ হলে তারপর সুপারভাইজারদের দেখান। এতে তারা আপনার কাজের মান বুঝতে পারবেন এবং LOR লেখার জন্য অনুপ্রাণিত হবেন।

 অতিরিক্ত পরামর্শ:
ধৈর্য ধরুন: এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে কাজ করতে থাকুন।
নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন: আপনার ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখুন। আপনি নিশ্চয়ই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
অন্যদের সাথে যোগাযোগ রাখুন: আপনার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন এবং তাদের সমর্থন পেতে পারেন।

আশা করি এই পরামর্শগুলো আপনার জন্য উপকারী হবে।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন blog.nurhsa.org

পোস্টটি লিখেছেন: Nadim Mahmud

Shares:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *