Higher Study Preparation

SOP( Statement Of Purpose)

SOP কি?

SOP এর Full Form হলো Statement of Purpose। একে কখনো কখনো Letter of Motivation বলা হয়। মূলত এটি এক ধরণের চিঠি যা উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা স্কলারশিপ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে লিখতে হয়।আমেরিকার বিশবিদ্যালয়গুলোতে এপ্লাই করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস হলো SOP. এটি একটি সার্টিফিকেট এর মত কাজ করে।ইভেন যাদের লো প্রোফাইল তাদের জন্য একটি ভালো SOP একটি এডমিশন/ড্রিম কে বাস্তবে নিয়ে আসতে পারে। তাই এটি সময় নিয়ে লিখা বা বার বার রিভিও করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইদানীং AI টুলস দিয়ে অনেকে কাজটি করার চেস্টা করছেন কিন্ত একটি কথা মাথায় রাখা উচিত যে যারা এগুলো রিভিও করে এরা আপনার চেয়ে বেশি ব্রেইন নিয়ে আমেরিকা বসে আপনাকে সিলেকশান এ বসেছেন। কি বলতে চেয়েছি হয়ত বুঝে গেছেন! 😁

যাই হোক আজকে আলোচনা করবো কিভাবে বা কি কি স্টেপ ফলো করলে আপনি একটি ভালো SOP লিখতে পারবেন।

SOP এর তিনটি অংশ থাকে।যথা:-

Introduction, Body এবং Conclusion. মূলত এর আঙ্গিক সাধারণ Essay এর মত হলেও এটি লিখতে আপনাকে হতে হবে Artistic – যেন এটি পড়ে আপনার স্কলারশিপ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকেই সিলেক্ট করে।

১)প্রথমেই আসি Introduction এর ব্যাপারে। Introduction এর ব্যাপারে প্রথম কথা যা মনে রাখতে হবে তা হল “First Impression is the last impression”. এই সেগমেন্টে আপনার সম্পুর্ন লেখার দিক নির্দেশনা ও সার থাকতে হবে। আপনি কোন Subject ও Department এ পড়াশুনা করতে চান সে বিষয়ে উল্লেখ থাকতে হবে। একটি চোখে পড়ার মত স্টারটিং ও লজিক্যাল ফ্লো মানে আগে পরে যা বলছেন তার সাথে একটা ফ্লো থাকা।মোট কথা, আপনার Introduction পড়ে যেন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী বিষয় নিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে।

২)স্পেসেফিক কোন ফরমেট এ না গিয়ে ইউনিক ভাবে চিন্তা করা। কারণ সবার স্টোরি এক না।এছাড়াও আপনি IELTS/ TOEFLS এবং GRE/ GMAT/ SAT যে এক্সামগুলো দিয়েছেন, তাও উল্লেখ করতে পারেন।

৩)একি SOP সব জায়গায় সাবমিট না করা কারণ একেক ইউনিভার্সিটি তে ওয়ার্ড লিমিট, স্পেসিফিক প্রোগ্রাম আলাদা তাই এদিকে খেয়াল রাখা। সহজকথা হলো কাস্টমাইজ করা।

৪)গ্রামারটিক্যাল ইস্যু একেবারেই গ্রহনযোগ্য না।এটি এভয়েট করার জন্য অনেক ফ্রি ওয়েবসাইট,AI টুলস আছে সেগুলো থেকে ফ্রিতে চেক করে নিতে পারবেন।

৫)সংক্ষেপ করা মানে অযাচিত কথা না উল্লেখ করে স্পেসেফিক টপিক এ কথার ফ্লো ধরে রাখা।

৬)যা আপনি অন্য জায়গায় উল্লেখ করেছেন(LOR,CV) তা এভয়েড করা।একি কথা ২য় বার উল্লেখ করে নিজের ও রিভিউয়ার এর সময় নস্ট না করাই ভালো।

৭)আপনার অনেক জব এক্সপেরিয়েন্স/ প্রজেক্ট /রিসার্চ থাকতে পারে কিন্ত ২/৩ টি যেগুলো আপনার স্পেসিফিক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এর কাজের সাথে যাবে এইগুলাই উল্লেখ করা।

৮)SOP কে সিভি বানাবেন না দয়া করে! পরিচিত সিনিয়র থাকলে তাদের কে দিয়ে রিভিউ করিয়ে নিতে পারেন।

৯)আপনি যদি আপনার Subject Change বা Track Change করেন তাহলে সেই বিষয়ে একটি প্যারা লিখতে হবে। যেমন ধরুণ আপনি ব্যাচেলর করেছেন Engineering বিষয়ে, এখন আপনি MBA করতে চাচ্ছেন- তাহলে আপনি কেন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে MBA করছেন সে বিষয়ে উল্লেখ করতে হবে। দুই বিষয়ে আবশ্যই সংযোগ করতে হবে। আপনার পূর্বোক্ত পঠিত বিষয়ের সাথে এখন যে বিষয়ে পড়তে চাচ্ছেন তার কি কি মিল আছে সেটা ঠিক রাখতে হবে। আর আপনি যে বিষয়ে পড়তে চাচ্ছেন সে বিষয়ে আপনি কিছু জানেন, সেটা আপনাকে উল্লেখ করতে হবে। সংযোগ স্থাপন করাটা এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি যদি কোন Valid and Appropriate কারণ দেখাতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার এডমিশন পর্যন্ত বাতিল হতে পারে।

একটা ভালো SOP লেখার জন্য আপনাকে অনেকগুলো SOP পড়া উচিত। এতে আপনার লেখা ভালো হবে। তবে কখনোই অন্য কারো SOP কপি করা উচিত হবে না। এতে বিপদ হতে পারে এমনকি কোন কারণে কপি হয়েছে সেটা তারা বুঝতে পারলে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

এইগুলা ছাড়াও আমার ব্যাক্তিগত একটি ফ্লো ফলো করতে পারেন:

ভালো স্টারটিং , পাস্ট স্টাডি,প্রজেক্ট, রিসার্চ ,লিডারশিপ(২ লাইনের বেশি না),এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি ,কেনো স্পেসিফিক ইউনিভার্সিটি,কেনো ইউনিভার্সিটি আপনাকে চুজ করবে।

মোটামুটি এই ব্যাপারগুলো মাথায় রাখলে অবশ্যই কয়েকদিনে একটি ভালো SOP লিখা সম্ভব। হ্যাপি হায়ার স্টাডি।

©Mahmudun Noby Symon

Shares:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *