Higher Study Preparation

Ph.D. Opportunity ফল-২০২৩: ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স/ ইঞ্জিনিয়ারিংঃ

টেক্সাস ষ্টেট ইউনিভার্সিটিতে ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কমার্শিয়ালাইযেশন Ph.D. প্রোগ্রাম একটি ইন্টারডিসিপ্লনারি প্রোগ্রাম যেখানে Physics, Electrical Engineering, Mechanical Engineering, MSE, ChE, chemistry, textile engineering, applied/bio chemistry & physics etc. ব্যাকগ্রাউন্ডএর শিক্ষার্থীরা Ph.D. ডিগ্রি অর্জন করে।

বর্তমানে এই প্রগ্রামের আওতায় উল্লেখিত ডিসিপ্লিনগুলো থেকে প্রায় ৬০ জনের মত ফাকাল্টি আছেন যারা Ph.D. স্টুডেন্ট এডভাইস করছেন বা করবেন। বিগত বছরগুলোতে আমাদের এই প্রগ্রামে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা সাফল্যের সাথে Ph.D. শেষ করে USA র বিভিন্ন নামী কম্পানিগুলোতে জয়েন করেছে। এ প্রগ্রাম থেকে শুধুমাত্র ২০২২ সালেই Ph.D. শেষে ৪ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ইন্টেলে, ১ জন স্যামসাং সেমিকন্ডাক্টরে, ১ জন মাইক্রনে, এবং ১ জন এপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালসে জয়েন করেছে।

গত ফলে ১৩ জন Ph.D. শিক্ষার্থী আমাদের এ প্রগ্রামে এনরোলড হয়েছে। সুখবর হচ্ছে এ বছর এই প্রগ্রমে আমরা আনুমানিক ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী নিচ্ছি। এখানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের রেপুটেশন বেশ ভাল। তাই আপনার ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স/ ইঞ্জিনিয়ারিং এ Ph.D. করার ইচ্ছা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব অ্যাপ্লাই করতে পারেন। এখানে এডমিশন হলে শুরুতেই প্রোগ্রাম থেকে কমপক্ষে ২ বছরের ফান্ড কনফার্ম করে দেয়া হয় (ক্ষেত্র বিশেষে ৩ বছর), এরপর সাধারণত এডভাইসর ফান্ড কন্টিনিউ করবেন। বর্তমান অফারে শিক্ষার্থীরা প্রায় $৩৫,০০০/৯মাস ( ইন-ষ্টেট টিউশন ~$৯০০০/year দিতে হবে) , অথবা ৩০,০০০/১০.৫ মাস+ টিউশন স্কলারশিপ + $২000 গবেষণা/ কনফারেন্স ট্রাভেলের জন্য ফান্ড পাবে। সামারে বাকি ৩ মাস অথবা ১.৫ মাস প্রফেসরের ফান্ড এভেইলাবিলিটির উপর নির্ভর করছে অতিরিক্ত salary পাওয়া বা নাপাওয়া ।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে উল্লেখ করছি-

১। এ বছর GRE score লাগবে না। TOEFL/IELTS/Duolingo/PET etc accepted.

২। M.S. ডিগ্রি থাকতে হবে। যদিও এডমিশন ওয়েবসাইটে মিনিমাম M.S. জিপিএ ৩.৫ উল্লেখ রয়েছে, তথাপি কম জিপিএ নিয়েও অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী এডমিশন পেয়েছে/পাচ্ছে। এর কারণ হল, আবেদনের পর টেক্সাস ষ্টেট ইউনিভার্সিটির গ্রাডুয়েট কলেজ পুনরায় জিপিএ এভালুয়েট করে, এবং প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশী ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের জিপিএ অনেকটাই বেড়ে যায়। আমি কয়েকজন বাংলাদেশী ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের জিপিএ around ৩.১০ থেকে পুনঃএভালুয়েশনের পর ৩.৬০ অতিক্রম করতে দেখেছি।

৩। এডমিশন ডেডলাইনঃ যদিও প্রায়ওরিটি ডেডলাইন ছিল ফেব্রুয়ারি ১, কিন্তু এখনো আপ্লাই করা যাবে। আমরা রোলিং এডমিশন দিচ্ছি।

৪। আপ্লাই করার আগে প্রফেসর ম্যানেজ করা অত্যাবশ্যক না। কিন্তু SOP এ যে যে প্রফেসরের সাথে কাজ করতে আগ্রহী, তাঁদের নাম কারণসহ উল্লেখ করা শ্রেয়। একাধিক নাম উল্লেখ করা শ্রেয়।

৫। মাস্টার্স অথবা ব্যাচেলর এ পাবলিকেশন থাকলে ভাল, কিন্তু আবশ্যক নয়।

৬। যেহেতু রোলিং এডমিশন, তাই যত দ্রুত অ্যাপ্লাই করবেন তত ভাল।

৭। এডমিশন ডিসিশান সেন্ত্রালি এডমিশন কমিটি নিয়ে থাকে।

৮। বিস্তারিত তথ্যের জন্য MSEC Ph.D. প্রোগ্রাম ওয়েবসাইটের এডমিশন রিকোয়ারমেন্ট পেজটি চেক করুন।

©️NexTop-USA

Shares:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *