Higher Study Preparation

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাওয়ার পরে করণীয়

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাওয়ার পরে আরও অনেকগুলো চ্যালেন্জ ফেস করতে হয় বাইরে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের ।

১. অফিসিয়াল অফার লেটার পেতে বিলম্ব যা গ্রাজুয়েট স্কুল থেকে দেওয়া হয়, অথবা ফান্ডিং কনফারমেসন অথবা আই-২০ । ইনিসিয়াল অফার লেটার পাওয়ার পর ফান্ডিং বা আই-২০ ফর্ম পেতে অনেকক্ষেত্রে অনেকসময় লাগে ।

২. আই-২০ ফর্ম পাওয়ার পর ইউএস আ্যাম্বাসিতে ভিসা ইন্টারভিউ ডেট পাওয়া অনেক কষ্টকর । তীর্থের কাকের মতো প্রতি ঘন্টায় একবার করে হলেও ডেট পাওয়ার জন্য অনলাইনে বসে থাকতে হয় ।

৩. জুলাই-আগষ্ট মাসে প্লেনের টিকিট পাওয়া সোনার হরিন পাওয়ার মতন কারন এই সময়টাতেই আমেরিকায় ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে থাকে । এবং তাছাড়াও সামার ভ্যাকেসন থেকে সবাই কাজে ফিরতে থাকায় প্লেনের টিকিট পেতে অনেক টাকা খরচ হতে পারে ।

৪. আমেরিকায় বাসা ভাড়া নেওয়া বেশ জটিল কারন Credit স্কোর বা সোস্যাল সিকিউরিটি নাম্বার ছাড়া বাসা ভাড়া দিতে চায় না । Credit স্কোর বা সোস্যাল সিকিউরিটি নাম্বার সম্পর্কে দেশে থাকা ছেলে-মেয়েরা প্রায়ই তেমন কিছুই জানে না । বন্ধু-বান্ধব বা সিনিয়ররা এক্ষেত্রে বিশাল সাহায্য করতে পারে ।অফার পাওয়ার পরে আনন্দে বিভোর না হয়ে প্রতিটি সময় কাজে লাগানো । ১. গ্রাজুয়েট স্কুলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ইনফরমেশন দিতে দেরী না করা । নিয়মিত গ্রাজুয়েট স্কুলের সাথে যোগাযোগ রাখা । ২. আই-২০ ফর্ম পাওয়ার আগেই ইউএস আ্যাম্বাসিতে ভিসা ইন্টারভিউ সাইটে যেয়ে অনান্য জিনিসগুলো ফিলাপ করা । ৩. SEVIS ফর্মের সাথে পরিচিত হওয়া । ৪. প্লেনের টিকিট খুঁজতে থাকা ।

৫. সিনিয়রদের সাথে যোগাযোগ রেখে রুম বা বাসা ম্যানেজ করার জন্য তৎপর থাকা ।

৬. নিজে craigslist-এ রুম বা বাসা খুঁজতে থাকা ।

৭. অনেকক্ষেত্রে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যলয়ের বাসা ভাড়া বা রুমমেট খোজার ফেসবুক পেজ থাকে ।

৮. তাছাড়াও বাংলাদেশ স্টুডেন্ড সোসাইটি বা মুসলিম স্টুডেন্ট সোসাইটিগুলো এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ।

©️Mohammad A. Halim

Shares:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *